রংপুরে সাংবাদিকতা ফেলোশিপের ৪র্থ দিন : ‘রিপোর্টারের কাজ তথ্য প্রকাশ করা, কাউকে মুগ্ধ করা নয়’
রংপুরে সাংবাদিকতা ফেলোশিপের ৪র্থ দিন : ‘রিপোর্টারের কাজ তথ্য প্রকাশ করা, কাউকে মুগ্ধ করা নয়’
নিউজ সোর্সঃ http://www.amader-protidin.com/News_load_controller/newsshow/3/3078/Fellowship1.jpg
জান্নাতুন লাকী:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মামুন আব্দুল কাইয়ুম বলেছেন, একজন রিপোর্টারের কাজ হলো তথ্য প্রকাশ করা, কাউকে মুগ্ধ করা নয়। গতকাল রোববার রংপুরের আরডিআরএস মিলনায়তনে আয়োজিত মানবাধিকার বিষয়ে সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ প্রশিক্ষণের ৪র্থ দিনে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার, রিপোর্টিংয়ের ধরণ ও প্রকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনগুলো মানুষকে জাগ্রত ও অনুপ্রাণিত করে উল্লেখ করে তিনি নারীর অধিকার, শিশু শ্রম, বিচার প্রাপ্তি, নারী বৈষম্য, আইন, নীতিমালা, সীমান্ত হত্যা ইত্যাদি বিষয় আলোকপাত করেন।
রিপোর্টিংয়ের ধরণ আলোচনা করতে গিয়ে তিনি রিপোর্টিংকে সাদামাটা বা উপরিতল প্রতিবেদন, ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, ফিচার বা মানবিক আবেদনমূলক প্রতিবেদন এই ৪ ভাগে ভাগ করেন। এই প্রতিবেদনগুলোর কাঠামো বোঝানোর জন্য তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন প্রদর্শন করেন।
এসময় সিনিয়র সাংবাদিক ও নিউজ নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিটেটর সদরুল আলম দুলু, নিউজ নেটওয়ার্কের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মাসুমা ইউসুফ এবং মনিটরিং ও ইভালুয়েটিং অফিসার শ্যামল উপস্থিত ছিলেন।
রংপুরে মানবাধিকার বিষয়ে সাংবাদিকতায় ফেলোশিপের উদ্বোধন
রংপুরে মানবাধিকার বিষয়ে সাংবাদিকতায় ফেলোশিপের উদ্বোধন
নিউজ সোর্সঃ http://www.amader-protidin.com/News_load_controller/newsshowforNosubmenu/rangpur/3036/3
সালমা আক্তার ও জান্নাতুন লাকী:
রংপুরে নারীদের সাংবাদিকতায় ৪ মাসের ফেলোশিপের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশে এ ফেলোশিপের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদানে নিউজ নেটওয়ার্ক ও উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থার (ইউএসএস) যৌথ উদ্যোগে এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই ফেলোশিপে ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছে।
রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রোগ্রাম ফেসিলেটোর সদরুল আলম দুলুর সঞ্চালনায় ফেলোশিপ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। ট্রেনিংয়ের প্রথম দিনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মাসুমা ইউসুফ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের আত্মার মাহফেরাত কামনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের সহযোগীতার প্রতিশ্রæতি প্রদান করেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের উত্তোরোত্তর সফলতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পটি বাংলাদেশের ৮টি জেলা রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রাজশাহী, সাতক্ষীরা ও যশোরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এ জেলাগুলো নারী ও মেয়ে পাচার, অবৈধ অভিবাসন, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান এবং জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রকল্প এলাকা হিসেবে এ এলাকাগুলোকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
রংপুরে মানবাধিকার বিষয়ে সাংবাদিকতায় ফেলোশিপের উদ্বোধন
রংপুরে মানবাধিকার বিষয়ে সাংবাদিকতায় ফেলোশিপের উদ্বোধন
নিউজ সোর্সঃ http://www.amader-protidin.com/News_load_controller/newsshowforNosubmenu/rangpur/3036/3
রংপুরে নারীদের সাংবাদিকতায় ৪ মাসের ফেলোশিপের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশে এ ফেলোশিপের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদানে নিউজ নেটওয়ার্ক ও উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থার (ইউএসএস) যৌথ উদ্যোগে এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই ফেলোশিপে ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছে।
রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রোগ্রাম ফেসিলেটোর সদরুল আলম দুলুর সঞ্চালনায় ফেলোশিপ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। ট্রেনিংয়ের প্রথম দিনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মাসুমা ইউসুফ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের আত্মার মাহফেরাত কামনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের সহযোগীতার প্রতিশ্রæতি প্রদান করেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের উত্তোরোত্তর সফলতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পটি বাংলাদেশের ৮টি জেলা রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রাজশাহী, সাতক্ষীরা ও যশোরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এ জেলাগুলো নারী ও মেয়ে পাচার, অবৈধ অভিবাসন, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান এবং জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রকল্প এলাকা হিসেবে এ এলাকাগুলোকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
Fellowship for Female Journalists in Jashore
Fellowship for Female Journalists in Rangpur
রংপুরে বিএইচআরডিএফ কেন্দ্রীয় ককাস এর বার্ষিক সম্মেলন
রংপুরে বিএইচআরডিএফ কেন্দ্রীয় ককাস এর বার্ষিক সম্মেলন
নিউজ সোর্সঃ http://www.lalmonibarta.com/details.php?mblogs=NTY1Mg==
বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরাম (বিএইচআরডিএফ) কেন্দ্রীয় ককাস এর বার্ষিক সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর রংপুর এনজিও ফোরাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ককাস এর সভাপতি মোশফেকা রাজ্জাক। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিউজ নেটওয়ার্ক এর প্রধান নির্বাহী শহীদুজ্জামান, উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় ককাস-এর সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, মানবাধিকার কর্মীর রক্ষাকবচ; প্রেক্ষিত বাংলাদেশ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রংপুর জেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য এ্যাড. মুনীর চৌধুরী।
নারী ও মেয়েদের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও সুরক্ষকারীদের প্রতিবন্ধকতা বিষয়ের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, যশোর, রাজশাহী ও সাতক্ষীরা জেলার সম্পাদক বৃন্দ। সম্মেলনে গঠনতন্ত্রের উপর আলোচনা ও তা অনুমোদন করা হয়। ককাস- এর কার্যক্রম মূল্যায়ন ও করণীয় বিষয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ষান্মাসিক নিউজ লেটার প্রথম সংখ্যা বিষয়বস্তু নির্ধারন ও প্রকাশনা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় ৮টি জেলা থেকে কেন্দ্রীয় ককাস-এর সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। লালমনিরহাট জেলা থেকে সভাপতি গেরিলা লিডার ড. এস,এম শফিকুল ইসলাম কানু, সহ-সভাপতি এ্যাড. আঞ্জুমান আরা শাপলা, সাধারন সম্পাদক নিশি কান্ত রায়, সদস্য ফিরোজা বেগম ও মওলানা আইয়ুব আলী অংশগ্রহণ করেন ।
সাংবাদিকতায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে- সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা
সাংবাদিকতায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে- সাতক্ষীরায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা
নিউজ সোর্সঃ https://dailysatkhira.com/news/72907
‘মেক মিডিয়া ফ্রী, জিডিপি উইল ইনক্রিস অ্যাট লিস্ট টু পার্সেন্ট’ নোবেল বিজয়ী ড. অমর্ত্য সেনের এই উক্তিকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় বক্তারা বলেন এর মধ্যে নিহিত রয়েছে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, সুশাসন, গণতন্ত্রকে শাণিত করা সহ নানা উদ্দেশ্য। এই লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ফ্রীডম অব প্রেস এখন এক চলমান আন্দোলন বলে উল্লেখ করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বক্তারা আরও বলেন রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়া ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালন করে আসছে। তারা গেইটকীপার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছে। এ জন্য সাংবাদিক ও মিডিয়া গেইটকীপারদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া দরকার। এর সাথে সাথে নারী সাংবাদিকতাকে জোরদার করার ওপরও গুরুত্ব আারোপ করেন তারা।
‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা,ঝুঁকি চিহ্ণিতকরণ, নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও দায়মুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষন’ শীর্ষক কর্মসূচিতে এসব কথা তুলে ধরেন আয়োজকরা। বুধবার সকালে সাতক্ষীরার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিকের সম্পাদক এবং সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেসক্লাবের শহিদ সম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এতে তারা বলেন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি যথাযথভাবে মোকাবেলা করা গেলে গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। দেশ আরও সমৃদ্ধ হবে। অচিরেই বাংলাদেশ এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
সাংবাদিকরা বহুমুখী নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে তারা বলেন এই পেশা ঝুঁকির পেশা। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তারা বলেন ২০১৫ সালে বিশ্বে ৭১ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশে খুন হয়েছেন কমপক্ষে ৩ জন সাংবাদিক। এর আগে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বে ৬৮০ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে বিচার হয়েছে মাত্র ৬ শতাংশের। বাকি ৯৪ শতাংশ হত্যাকান্ড দায়মৃুক্তির পর্যায়ে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেন তারা। সাংবাদিক হত্যা এবং তার বিচার না হওয়ার যে সংস্কৃতি বহমান তা থেকে বেরিয়ে আসতে কাজ করছে নিউজ নেটওয়ার্কসহ বহু সংগঠন।
নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক শহীদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল ওরফে সাজ্জাদ বকুল। এ সময় নিউজ নেটওয়ার্কের মনিটরিং অফিসার শ্যামল সিংহ রায় এবং সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়কারী এম কামরুজ্জামান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে আলোচকরা বলেন এই ঝুঁকি রাজধানী ঢাকায় অপেক্ষাকৃত কম হলেও ঢাকার বাইরে তা অনেক বেশি। হত্যা, হত্যার হুমকি, মানসিক চাপ, শারীরিক আঘাত, হামলা ও মামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে তারা বলেন সরকার ও প্রশাসনের নানা অনিয়ম , দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে কথা বললেই এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে । দেশ যতোই উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই হত্যা হুমকি ও ঝুঁকি বাড়ছে বলেও উল্লেখ করা হয় কর্মশালায়। এ চিত্র কেবল বাংলাদেশের নয় , সারা বিশ্বের বলে উল্লেখ করেন তারা। কর্মশালায় তারা বলেন মিডিয়ার কাজ কোনো উন্নয়ন বন্ধ করা নয়, মিডিয়ার কাজ কোনো গনমুখী কর্মকান্ডে বাধা দান নয় , কাউকে নিরুৎসাহিত করা নয়। বরং মিডিয়ার কাজ সবকিছু জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা। নিয়মতান্ত্রিকতা নিশ্চিত করা। এ প্রসঙ্গে তারা দেশের স্বাধীনতা , সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা ছাড়াও জাতীয় সংগ্রাম ,মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ নানা বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে বলেন এসব যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
একজন সাংবাদিক তার পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন। তাকে আটক করা, কারাগারে নিক্ষেপ করা, তার দেহ তল্লাশি করা, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া, দেশ থেকে নির্বাসন দেওয়া, তার রোগ সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়া, দুর্নীতিবাজ বা পাচারকারীদের শিকার হওয়া এমনকি নানাভাবে প্রলুব্ধ হবারও ঝুঁকি রয়েছে। যুদ্ধ ক্ষেত্রে , বিক্ষোভ মিছিলে, আন্দোলনে, সহিংসতার সময় তিনি আক্রান্ত হতে পারেন। লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার ধরন পরিবর্তিত হতে পারে জানিয়ে তারা বলেন এমনকি একজন সাংবাদিকের সংবাদ বিষয়ক উপকরণ চুরি ও তা বাজেয়াপ্ত হতে পারে। তিনি ডিজিটাল হুমকি, লিখিত হুমকি এমনকি তিনি সন্ত্রাসী অথবা আইনশৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যেও পড়তে পারেন। সংবাদপত্রে অগ্নিসংযোগ, সংবাদপত্র ভবনে হামলা, ভাংচুর, ব্যবহার্য উপকরন বাজেয়াপ্ত, মাঠ পর্যায়ে ক্যামেরা ভাঙা, ই মেইল, ফেসবুক এবং অনলাইনে ট্রলসের মাধ্যমেও তিনি হুমকির মধ্যে পড়তে পারেন। সর্বত্র ডিজিটাল হয়রানি, সহিংস হামলা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ নানা বিষয়ে একজন সংবাদকর্মী বারবার আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে আলোচক বক্তারা মিডিয়া ও গেটকীপারদের নিরাপত্তার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাজধানী ঢাকার বাইরে সাংবাদিকরা কেন বেশি ঝুঁকির মধ্যে এমন প্রশ্নের উত্তরে নিউজ নেটওয়ার্ক সম্পাদক শহীদুজ্জামান বলেন, সচরাচর ‘ভেস্টেট কোয়ার্টার’ (পরিত্যক্ত ভবন) এর লোকজন এই সুযোগ গ্রহন করে থাকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছোট ছোট শহরে সাংবাদিকরা নীতিগত বিষয়ে অনেকটা পশ্চাদপদ। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা সাংবাদিকতার সাথে সাথে ব্যবসা বানিজ্য এবং সামাজিক অর্থনৈতিক নানা বিষয়ে জড়িত থাকেন। তাদের মধ্যে দুর্নীতি আছে। তারা ফুল টাইমার সাংবাদিক নন। পেশাদার সাংবাদিকের সংখ্যাও কম। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ও আদর্শগত বিরোধও আছে। এসব কারনে চোরাচালানি, পাচারকারী এবং ডগলর্ডদের দ্বারা তারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ঢাকা হাউজ থেকে নিয়োগ দেওয়ার সময় তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা না করাও এধরনের হামলার অন্যতম কারন বলে উল্লেখ করা হয়।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতায় নৈতিক চর্চা বাড়াতে হবে , রিপোর্টিংয়ে বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে এবং সম্পাদনার ক্ষেত্রে পক্ষপাতহীনতার গুরুত্ব দিতে হবে। নির্বাহী সম্পাদক ও সহ সম্পাদককে গেইটকীপারের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এমনটি করা গেলে ঝুঁকি অনেকটাই প্রশমিত হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তারা।
কোন ঝঁুঁকিপূর্ন ঘটনা নিয়ে রিপোর্টিংয়ের সময় সংবাদকর্মীদের গ্রুপগতভাবে কাজ করানো, তথ্য বিনিময়ের সুযোগ থাকা এবং শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্তদের রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচকরা আরও বলেন ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বিশ্বে ৫৯৩ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ২০১২ সালে ১২৩ জন এবং ২০১৩ সালে ৯৩ জনকে হত্যা করা হয় জানিয়ে আয়োজকরা আরও বলেন, প্রতি ১০ টি কেসের মধ্যে ৯টিই অনিষ্পত্তিকৃত রয়ে গেছে। এমনকি ইউরোপ ও আমেরিকাতেও এ ধরনের ৬০ শতাংশ ঘটনার বিচার হয়নি। তারা ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস’ (সিপিজে) এর পরিসংখ্যান তুলে ধরে আরও বলেন, গত ২২ বছরে বাংলাদেশে ৩০ জন সাংবাদিক খুন হয়েছে। এ অবস্থা থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিতে হলে তাদের নতুন পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। ঝুঁকি প্রশমনে নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে হবে।
দেশে নারী সাংবাদিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না মন্তব্য করে কর্মশালার সভাপতি শহীদুজ্জামান বলেন, নিউজ নেটওয়ার্ক ১৯৯৮ সাল থেকে নারী সাংবাদিকদের ট্রেনিং করিয়ে ফেলোশিপ দিয়ে আসছে। ১৪ বছরে ৩৫০ জন নারীকে প্রশিক্ষন দেওয়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা এখন বড় বড় মিডিয়া হাউজের প্রতিনিধিত্ব করেন। অনেকে বিদেশে পিএইচডি করছেন এবং অনেকে মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকতায় খ্যাতি লাভ করেছেন। নারী সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তারা বলেন, তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হলে অন্যদের তুলনায় তারা ভালো কাজ দেখাতে পারেন। পেশাগত দক্ষতার ফলে তারা সর্বোচ্চ সফলতা দেখাতে পেরেছেন। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়াশিংটন ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স মিডিয়া ফাউন্ডেশন এবং ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত লন্ডন ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল নিউজ সেফটির তথ্য তুলে ধরে তারা বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ৯৭৭জন নারী সাংবাদিক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ নারী তার অফিস বস, উর্ধতন কর্মকর্তা অথবা সহকর্মীর যৌন হয়রানির মুখে পড়েছেন। তারা মিডিয়া হাউসের বাইরের চেয়ে ভেতরে বেশি হয়রানির মধ্যে রয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ ভাগ তার বস দ্বারা এবং ৪০ ভাগ অন্যদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন তারা।
নারী সাংবাদিকদের ৪৬ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হয়েছেন জানিয়ে তারা বলেন, এরই মধ্যে বলিউড থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘মি ঠু’ আন্দোলন। এ প্রসঙ্গে তারা ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দ্য এশিয়ান এজ এর প্রাক্তন সম্পাদক এমজে আকবরের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ মাথায় নিয়ে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। তবে পরে তিনি কয়েকজন নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। অপরদিকে কমপক্ষে ২০ জন নারী সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ‘মি ঠু’ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
দুদিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, দৈনিক দক্ষিনের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি, দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্টা সম্পাদক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, দৈনিক দৃষ্টিপাত এর নির্বাহী সম্পাদক আবু তালেব মোল্লা, দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরার নির্বাহী সম্পাদক শেখ তানজির আহমেদ, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক আবদুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুল বারী, দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভির সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী প্রমূখ।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সাংবাদিকতা পেশায় নারী সাংবাদিকদের আগ্রহী করে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলা হয় এ জন্য সম্পাদকরা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন। তারা তাদের উৎসাহিত করলে নারী সাংবাদিকতা আরও বেগবান হতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন আলোচকরা।
হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরামের স্মারকলিপি পেশ
হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরামের স্মারকলিপি পেশ
News Source: http://edainikjugeralo.com/edition/447/november/page/8
Annual conference of Bangladesh Human Rights Defenders Forum (BHRDF) held
Annual conference of Bangladesh Human Rights Defenders Forum (BHRDF) held
News Source: https://www.nbengal24.com/annual-conference-of-bangladesh-human-rights-defenders-forum-bhrdf-held/
The annual conference of Bangladesh Human Rights Defenders Forum (BHRDF) was held in Rangpur NGO Forum Hall room on Saturday. Members of the CAUCUS Executive Committee of Rangpur, Dinajpur, Nilphamari, Lalmonirhat, Kurigram, Jessore, Rajshahi and Satkhira Districts were present in the conference. Presided over the conference, the President of the Central CAUCUS Mr. Moshfiqa Razzak, President of Rangpur Press Club, Bir Freedom Fighter Sadrul Alam Dulu, represented the News Network, Mr. Shahiduzzaman, Editor and Chief Executive Officer of the organization and Mr. Alauddin Ali, Executive Director, Udayankur Services Agency (USS).
Presenting the keynote paper titled “Protection of human rights activists in Bangladesh” at the conference, Acting member of the Rangpur District Caucus, lawyer and human rights activist, AAM Munir Chowdhury. Firozha Begum Lalmonirhat, Firoz Alam, Chanalal Bakshi and Laili Begum Kurigram, Sarwar Manik, Meherunnesa and Miladur Rahman Mamun Nilphamari, Chitta Ghosh Dinajpur, Jamaluddin Jessore and Nazmul Haq Satkhira participated in the discussion on the main article.
If the BHRDF draft constitution is presented in the conference, it is unanimously approved without any amendment.
Annual Conference of Central Caucus: Delegates demanded safety and security for of the human rights defenders

The First Annual Conference of Central Caucus of the “Bangladesh Human Rights Defenders’ Forum (BHRDF)” held here today at Rangpur. Delegates from different districts, including Rangpur, Kurigram, Lalmonirhat, Dinajpur, Nilphamari, Satkhira, Rajshahi and Jashore attended the conference. The day-long conference was chaired by BHRDF President Moshfeka Razzak.
In the opening session, General Secretary Habibur Rahman Milon presented the BHRDF’s Annual Report 2017. Advocate AAM Munir Chowdhury was the keynote speaker, while News Network Editor and CEO Shahiduzzaman and Udayankur Seba Sanghtha (USS) Executive Director Alauddin Ali were the guest speakers. At the end of the conference, vice-president of the forum Md. Shafiqul Haque Chhutu gave a vote of thanks to the participants. Activities of the Caucus are a part of an ongoing project titled, “Supporting Human rights Defenders Working for Women’s and Girls’ Rights in Bangladesh”. With the support from European Union, News Network in collaboration with USS has been implementing the project. The participants and delegates appreciated the arrangement and discussed on various issues including strengthening the forum, activity plan for next year (2019), fundraise, build a network with other human rights groups, journalists and media house, and relevant other stakeholders. Delegates also approved the constitution of the BHRDF.

The delegates have demanded enactment of a law to ensure safety and security of the human rights defenders to promote their activities for protecting rights of the women and girls. With a nine-member Executive Committee, the BHRDF was formed on 17 July, 2018. Among them, Moshfeka Razzak and Mr. Habibur Rahman Milon were elected President and General Secretary of the BHRDF respectively. Other office bearers are: vice president Md.Shafiqual Haque Chhutu, joint secretary Milladur Rahman Mamun, treasurer Sayeda Yesmin Rupa and the executives members are M. Kamruzzamna, Remon Rahman, Adv.Anjuman Ara Shapla and Mahbubul Islam. The BHRDF also selected the following persons as its advisers: Md.Sarwar Manik, Md. Akbar Hossain, Dr.S.M Shafiqual Islam Kanu, Md.Anisur Rahim and AKM Samiul Haq.